গুগল গত জুনের তিন তারিখে কোর আপডেট নিয়ে আসে। এই আপডেটে বেশ কিছু সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সময়ের সাথে আসলে বুঝা যাচ্ছে কি ধরনের সাইট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে । এই পোষ্টের শেষের দিকে কিছু অভিমত দেওয়া হয়েছে যা আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে
if i am wrong educate me don’t belittle me
Devesh Pal
কোর আপডেট নিয়ে আমরা যা জেনেছি
ডেনি তার টুইটার অ্যাকাউন্টে গুগল আপডেটের সংবাদটি প্রথমে দেন । সম্ভবত গুগোল এইভাবে পূর্বে ঘোষণা দিয়ে আপডেট এর ঘটনা দ্বিতীয় বা তৃতীয় । গুগোল সাধারণত পূর্বে ঘোষণা দিয়ে কোন ধরনের আপডেট দেয় না ।তাই এই ঘটনা অনেক এসইও বিশেষজ্ঞের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ছিল ।
Tomorrow, we are releasing a broad core algorithm update, as we do several times per year. It is called the June 2019 Core Update. Our guidance about such updates remains as we’ve covered before. Please see this tweet for more about that:https://t.co/tmfQkhdjPL
— Google SearchLiaison (@searchliaison) June 2, 2019
জুন মাসের ৩ তারিখে গুগল জানায় কোর আপডেট লাইভ হয়েছে এবং তার বিভিন্ন ডাটা সেন্টারে সিনক্রোনাস হচ্ছে .
The June 2019 Core Update is now live and rolling out to our various data centers over the coming days.
— Google SearchLiaison (@searchliaison) June 3, 2019
৮ তারিখে ড্যানি জানায় ওর আপডেটটি সবগুলো ডাটা সেন্টারে লাইভ হয়েছে
It's rolled out now.
— Danny Sullivan (@dannysullivan) June 8, 2019
কনফিউশন তৈরী ……
আপডেটের বিষয়ে ড্যানি ও গুগল সার্চ ইলিউশনে বার বার কথা বলার কারনে বিষয়টি কনফিউশন তৈরি হয়
অনেকে এ বিষয়ে জেনে খুশি হয়ে যে গুগল এখন থেকে আপডেট গুলো ইউজারকে জানিয়ে দিবে। আসলে সেটা মূলত একটা আপডেট ছিল না । ছিল দুটো আপডেট একটি কে বলা হয় ডাইভারসিটি আপডেট , আরেকটি হলো জুনের কোর আপডেট
আপডেট শেষ হওয়ার পরে বেশ কয়েকটি সাইট আমি রিভিউ করি যা ডাইভারসিটি আপডেটের কারণে এফেক্ট হয়নি । তাই আমার ব্যক্তিগত পরামর্শ হয় যদি আপনার সাইটের ভিজিটর জুনের প্রথম সপ্তাহের ডাউন হয় তবে সেটা ডাইভার্সিটি আপডেটের কারনে নয়, সেটা কোর আপডেট কারণে হতে পারে
বেশ কয়েকটি কারণ হতে পারে আপনার সাইটের ট্রাফিক ডাউন হওয়ার । যদি আপনি সাইটে ট্রাফিক ডাউন হয় তাহলে নিচের প্রশ্নগুলো নিজেকে করুন তাহলেই উত্তর গুলো খুব সহজে বুঝতে পারবেন
- আপনার সাইটে কি রিসেন্টলি কোন পরিবর্তন করেছেন ? ইউ আর এল এর পরিবর্তন কিংবা রোবট পরিবর্তন?
- নির্দিষ্ট কোন কম্পিটিটর কি আপনাকে অতিক্রম করেছে? যদি তাই হয় তাহলে তা আপনার সাইটের রেংকিং ফল করেনি বরং আপনার কম্পিটিটর উন্নতি করেছে? আপনারা কি শুধুমাত্র গুগল করেছে নাকি বিন ও অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিন এ ও ডাউন হয়েছে?
- আপনার সাইটের কী ওয়ার্ড গুলো কি সিজনাল?
জুন মাসে 3 থেকে 8 তারিখের মধ্যে আপনার সাইটের গুগলের অর্গানিক ট্রাফিক যদি ডাউন হয় তাহলে ধরে নিতে পারেন আপনার সাইটটি জুনের কোর আপডেট এর কারনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
জুন 4 তারিখের ডাইভারসিটি আপডেট
ডাইভারসিটি আপডেটের কারণে ট্রাফিকের খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। ইয়েল্প ডট কমের এর মত সাইট গুলো ডাউন হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জুনের প্রথম সপ্তাহের পর তাদের ট্রাফিক বেড়েছে

SEMRUSH জুন 14 তারিখে তাদের কিবোর্ড ডাটাবেস আপডেট করে। AHREF ইয়েল্প ডট কমের অর্গানিক ট্রাফিক দেখায় না। ফলাফল হিসেবে অ্যানালিসিস করা খুব কঠিন হয়ে পরে।
আরেকটি সাইট ডাইভারসিটি আপডেটের কারণে ট্রাফিক হারানোর কথা ছিলো। সেটি হল ওপেন টেবিল (opentable.com)। এপ্রিল মাসের গুগোল সার্চ ফলাফলের পাতায় ইয়েল্প ডট কমের গুলো পজিশন ওপেন টেবিল দখল করেছিল।

বর্তমানে তা হারিয়ে গেছে। মাত্র দুটি ওপেন টেবিল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেখা যাচ্ছে।

যদিও এ দুটো উদাহরণ পারফেক্ট না কারণ খুব কম মানুষই রেস্টুরেন্ট নিয়ার মি লিখে গুগোল এ সার্চ করেন তারপরও তাদের ট্রাফিক হারানোর কথা ছিলো কিন্তু এস ই এম রাশের রিপোর্ট অনুসারে কেউই ট্রাফিক হারায়নি।
বাংলাদেশের grameenphone.com বেশকিছু কি ওয়ার্ডে ব্যাংকে প্রথম চার পাঁচটি পজিশন দখল করেছিল অনেক ক্ষেত্রে এখনো সেই পজিশন গুলো দখল করে আছে এবং মজার বিষয় হচ্ছে তারাও ট্রাফিক হারায়নি। অর্থাৎ ড্যানি কিংবা সার্চ ইলিউশন এর টুইটার অ্যাকাউন্টে দেওয়া তথ্যগুলো জাস্ট দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে।

মোটামুটি নিশ্চিত ভাবে বলা যায় ডাইভারসিটি আপডেটের কারণে কেউই ট্রাফিক হারায়নি। কারণ হিসেবে বলা যায় ট্রাফিক সাধারণত একই সাইট 2 এর চেয়ে অধিক দেখলে নিচের গুলোতে ক্লিক করে না। তাই ডাইভারসিটি আপনার নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই
পরবর্তী অংশ আমরা আলোচনা করব শুধুমাত্র জুন মাসের অ্যালগোরিদমের আপডেট নিয়ে
কোর আপডেটে ক্ষতিগ্রস্ত সাইট সমুহ
গুগোল যখনই বড় ধরনের কোন আপডেট আনে তখনই মোটামুটি নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরির সাইটের ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেখা যায়। কিছু ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরি কিছু সাইট আপ হয়। তবে স্পেসিফিকভাবে নির্দিষ্ট কোন ক্যাটাগরি কে বা নির্দিষ্ট কোন সাইটকে টার্গেট করে গুগল আপডেট আনে না।
স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট
আগস্ট এর মেডিক আপডেটের পর স্বাস্থ্য বিষয়ক সাইট গুলো খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইউর মানি ইওর লাইফ (YMYL) এই নীতির উপর ভিত্তি করে গুগোল আপডেট আনে। সেখানে যেসব সাইট মেডিকেল রিলেটেড অথরিটি তৈরি করতে পারেনি তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় জুন মাসের পর এই সকল মেডিকেল সাইট গুলো ট্রাফিক পাওয়া শুরু করে। নিচে কয়েকটি স্ক্রিনশট দেওয়া হল। তবে সব মেডিকেল সাইট যে আপ হয়েছে তাও নয় বেশ কিছু মেডিকেল বিষয়ক সাইট ডাউন হয়েছে।

এসব সাইটের ক্ষেত্রে একটা বিষয় খুব সাধারণ তা হচ্ছে সাধারণ বৈজ্ঞানিক জ্ঞান দিয়ে এ সকল সাইট চালানো উচিত নয় বা চালাতে পারার কথা নয় গুগোল কোয়ালিটি রেটিং গাইডলাইন এর আপডেট ভার্সন এ এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রচুর। সেকশন 3.2 এ ই এ টি বিষয়ক আপডেট এ এই বিষয়টি আলোচনা করা হয়েছে।

মাঝে মাঝে আমার কাছে বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং মনে হতো । গুগোল কিভাবে সিদ্ধান্ত নেয় মেডিকেল বিষয়ক কোন আর্টিকেলটি সঠিক এবং কোনটি নয়। তবে বিষয়টা অসম্ভব নয়। গুগোল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর মাধ্যমে খুব সহজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে কারা মেডিকেল বিষয়ে কথা বলবে বা কোন ধরনের আর্টিকেল বিশ্বাসযোগ্য।
DrAxe.comসাইটটি এই ধরনের উদাহরণ এর জন্য বেস্ট হতে পারে। এখানে তারা ই এবং এ কোন ভাবে অর্জন করলেও ট্রাস্টের জায়গায় প্রতি দুর্বলতা আছে। মার্চের 12 তারিখে আসা আপডেটে এই সাইট গুলো কিছুটা ট্রাফিক বাড়াতে পারলেও জুনের 3 তারিখের আপডেটে তারা আবার আগের অবস্থানে ফিরে গিয়েছে। খুব সম্ভবত গুগোল এই সময়ে ওয়েবে বিভিন্ন ধরনের প্রোফাইল ভিউ করেছে এবং এই রিভিউ-এর মাধ্যমে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোনটি বিশ্বাসযোগ্য কোনটি নয়।

ট্রেডিশনাল ডাক্তার দ্বারা গ্রহণযোগ্য নয় এমন ধরনের হেল্প ট্রিটমেন্ট এর ক্ষেত্রে গুগোল সবসময়ই নেগেটিভ মনোভাব দেখিয়েছে। তার মানে এই না যে সবসময গুগোল সঠিক। যেমন হারবাল মেডিসিন এক্ষেত্রে আমরা জানি বেশ কিছু হার্বাল মেডিসিন উদাহরণ হিসেবে বলা যায় তুলসী পাতার রস সর্দি কাশির জন্য উপকারী। কিন্তু গুগোল গুরুত্ব দেয়নি এবং ডাউন করেছে। এদিকে এই বিষয় নিয়ে কিভাবে রিকভার করা যায় সাইটগুলোকে সেটা নিয়ে আলোচনা করেছি।
ই কমার্স সাইট
অনেক গুলো ই কমার্স সাইটের ভিজিটর খুব ভালোভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আমার এনালাইটিক্স এ থাকা বেশ কয়েকটি সাইটের ট্রাফিক কমেছে। খুব ভালো ভাবে খেয়াল করলে দেখবেন ব্যান্ড সকল ই-কমার্স সাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধি পেয়েছে , নন ব্যান্ডের সাইট এর ট্রাফিক কমেছে। গুগোল কোয়ালিটি রেটার গাইডলাইনের আপডেট ভার্সনে এই বিষয়ে আগেই বলা হয়েছে। খুব সম্ভবত গুগল আবার তার ব্র্যান্ডের দিকে নজর দিয়েছে।
নিচের দুটো লাইন পড়লে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে প্রথম লাইনটি আগের ভার্সনে দেওয়া এবং দ্বিতীয় লাইনটি নতুন ভার্সন যুক্ত করা


তাই বলা যায়, ভালো অথরিটি সাইট গুলোর ভালো ব্র্যান্ডের সাইটগুলোর তথ্যগুলোকে গুগোল সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য মনে করছে। আমার মনে হয়েছে ব্র্যান্ড সাইটের সবচেয়ে বড় সিগন্যাল হিসেবে কাজ করছে। এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন গুগোল বেশ কিছু সময় ধরে লিংক ছাড়া ব্রান্ড কে ব্যাকলিংক হিসেবে কাউন্ট করছে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি সাইট
এই আপডেটে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সম্ভবত ক্রিপ্টোকারেন্সি সাইট। সিসিএন তাদের সাইটের ভিজিটর দুই-তৃতীয়াংশ হারিয়েছে । এসইও টুলস ও একই ধরনের ডাটা টুলস গুলা দেখাচ্ছে অর্থাৎ ক্রিপ্টোকারেন্সি সাইট গুলো নিন্মগামী হয়েছে। এই সাইট গুলা যাত্রা শুরু অধিকাংশ ক্ষেত্রে 2018 সালে। এখানেও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে।
পুরাতন ভার্সন থেকে নতুন ভার্সনে রিডিরেক্ট করা সাইটগুলোকে ডাউন খেতে দেখেছি। যদিও এ ধরনের সাইট খুব কম দেখা হয়েছে তবে যদি আমার ধারনা সঠিক হয় গুগল ট্রাস্ট, ইস্যুকে গুরুত্ব দেয় তাহলে এ ধরনের সার্ভার ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা প্রচুর। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি না গুগোল কারেন্সি সাইট গুলো কে টার্গেট করে এ ধরনের কোন কাজ করেছে। গুগল ওয়েবমাস্টার ফোরামগুলোতে এ ধরনের কোনো কথাবার্তা দেখিনি। যদি তাই হত সিসিএন এর সাথে কয়েন টেলিগ্রাফ বা কয়েনবেস সাইট গুলো ডাউন হত। বাস্তবে তা হয়নি। সি এন এর ক্ষেত্রে এংকর টেক্সট অপটিমাইজেশন কে অনেকে দায়ী করেন।
নিউজ সাইট
ডেইলি মেইল প্রায় 50% ট্রাফিক হারিয়েছে। এই জায়গায় আবার নির্দিষ্ট কোন কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না। গুগোল আলগরিদম কাজ করছে ফেক নিউজ বাবুয়া সংবাদ গুলো কে তার ফলাফল পাতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। শুধু তাই নয় গুগোল এ পাশাপাশি ফেইসবুক এ বিষয়ে অনেকটা সচেতন হয়েছে।
তবে ডেইলি মেইলের একটা বিষয় খুব বেশি অবাক করা ছিল তাদের ইউজার এক্সপেরিয়েন্স। সাইটে প্রচুর পরিমাণ বিজ্ঞাপন অটো ভিডিও প্লে হওয়া সাউন্ড ইত্যাদি ডেইলি মেইল এর মধ্যে পাওয়া যায়। অ্যাড ব্লক করলে বার বার নোটিফিকেশন দেওয়া এবং কমেন্ট ব্লক করা ইত্যাদি ঘটনা ছিল। ডেইলি মেইলের ট্রাফিক ডাউন হওয়ার পিছনে এটা একটা কারণ হতে পারে. এছাড়া তাদের বিশ্বাস যোগ্যতা নিয়ে লিলি রায় ( এসইও বিশেষজ্ঞ ও ডি জে ) সহ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন বিভিন্ন জায়গায়

আপডেট নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু সিদ্ধান্ত
গুগোল সাধারণত তাদের এল্গো খুব সহজে কেউ যেন বুঝতে পারে সেটা চায় না। তারপরও এসইও বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে খুব সহজেই কিছু বিষয় কে নির্দিষ্ট করে ফেলেন। গুগল সাইটের কোয়ালিটি কিভাবে নিশ্চিত করে সেটা এখনো অনেকটাই অজানা । আমার ধারনা , হাই কোয়ালিটি নিশ্চিত করার জন্য গুগোল অনেকগুলো বিষয় কে একসাথে যুক্ত করেন ফলাফল হিসেবে একটি নির্দিষ্ট স্কোর দাড় করে যা কোয়ালিটি কে নির্দেশ করে।
এই থিওরি অনুসারে কোন সাইটের অথরিটি আছে, এক্সপার্টনেস আছে, কিন্তু বিশ্বাস যোগ্যতা নাই তার মানে শাট ডাউন খেতে পারে যেমনটা ধারনা করা হচ্ছে ডেইলি মেইলের ক্ষেত্রে । আর এই ইস্যু নিয়ে গুগোল এর আপডেট কোয়ালিটি গাইড লাইনে আলোচনা করা হয়েছে কয়েকবার। ফলাফল হিসেবে গুগলের জুন মাসের কোর আপডেট।
বৈজ্ঞানিক বিষয়
আগের পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে আপনার পোস্ট যদি সাধারণ বৈজ্ঞানিক কমন সেন্স এর বাইরে যায় কোয়ালিটি রেটারদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাকে লো কোয়ালিটি কনটেন্ট বিবেচনা করার জন্য । আপনার সাইজ যদি হারবাল বিষয়ক হয় যা ট্রেডিশনাল সাইন্টিফিক বিস্ময়ের পরিপন্থী তাহলে রিকভার করা খুবই কষ্ট হবে ভবিষ্যতে যারা সাইট করবেন তারা এ বিষয়ে খেয়াল রাখতে পারেন।
এখানে অনেকের মনে হতে পারে ডেইলি মেইল বা সি সি এন এর আপডেট সাইট কোয়ালিটির সাথে সম্পর্কিত । ড্যানি তার একটুইট বার্তায় বলেন এই আপডেটটি পান্ডা বিষয়ে কোনো আপডেট নয়। সাইট কোয়ালিটি ডিটারমাইন্ড করার বিষয় হলে পান্ডা রানিং হত । যদিও পান্ডা এখন কোর আপডেটের অংশ
মেডিসিনাল সাইট করার সময় অবশ্যই নিজে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে
১. আপনার কি কোন এক্সপার্ট দিয়ে লিখিত? সাধারণত এই বিষয় নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ জ্ঞান না থাকায় লিখতে পারেন না অথবা লিখলেও তথ্য অনেকগুলো গ্যাপ থেকে যায়।
২. আপনার সাইটটি প্রচলিত মতবাদের বাইরের কোন বিষয় নিয়ে লিখলে গুগোল এ রেঙ্ক না করার সময় অনেক বেশি
৩. ইএটি গুগলের সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় এখন আমার মতে
৪. বিশ্বাসযোগ্যতা হেলথ রিলেটেড বিষয়গুলোর জন্য অধিক গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইনফরমেশন গুলো এমন ভাবে লিখুন যেন তা বিশ্বাসযোগ্য হয় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে সঠিক রেফারেন্স ইউজ করুন।
আমরা অনেক ক্ষেত্রেই আউটবাউন্ড লিঙ্ক এর বিষয়ে উইকিপিডিয়া এই ধরনের সাইট গুলো কে দিয়ে থাকি। মেডিকেল সাইন্স এর জন্য এ ধরনের সাইট গুলো কে আসলে রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এগুলো কোন এক্সপার্ট যে লিখিত না । ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল মেডিকেল বুকস ইত্যাদি রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন,
ব্রান্ড অথরিটি
মার্চের আপডেটের ব্র্যান্ডগুলো কিছুটা নিম্নগামী হলেও এইবার এর আপডেটে ব্র্যান্ড যথেষ্ট ট্রাফিক লাভ করেছে । ব্র্যান্ড কি? খুব সহজ কথা বললে একজন সাধারন মানুষ যদি আপনার সাইট কে বা আপনাকে খুব সহজে বিশ্বাস করতে পারে, ইন্ডাস্ট্রিতে লিডার হিসেবে গন্য করে তাহলে আপনি ব্রান্ড আপনার সাইট। তাই ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর প্রতি গুরুত্ব দেন
লিংক
সি সি এন এর মূল কারণ যেটা দেখা যাচ্ছে সেটা হচ্ছে লিংক প্রোফাইল ও এংকর টেক্সট অতিমাত্রায় ওভার অপটিমাইজ করার কারণে সিসিএন ট্রাফিক হারিয়েছে বলে মনে করা হয়। বিভিন্ন ধরনের লিংক স্কিন কেনা হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।
বিজ্ঞাপন
অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন বা নেগেটিভ ইউজার এক্সপেরিয়েন্স সাইটের জন্য ক্ষতিকর যেটা ডেইলি মেইলের ক্ষেত্রে ঘটেছে বলে মনে করা হয় । আগের গুগল সার্চ কনসোল এ অ্যাড এক্সপেরিয়েন্স রিপোর্ট নামে একটা অপশন ছিল। যেখানে অধিকাংশ সাইটেরই কোন ডাটা দেখাতো না কিন্তু কয়েকটি সাইটের ডাটা দেখা তো। সেখানে এক্সপেরিয়েন্স নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছিল আর যেহেতু ইউজার অতিরিক্ত মাত্রায় বিজ্ঞাপন পছন্দ করেন না তাই আপনার সাইটে অতিমাত্রায় বিজ্ঞাপন ব্যবহার বন্ধ করুন।

ইভেন কোয়ালিটি রেটার গাইডলাইনেও এই বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে

ই এ টি
গুগল বেশ কয়েক বছর যাবত তাদের রাঙ্কিং থাকতে হবে এক্সপার্ট ট্রাস্ট ও অথরিটি নিয়ে কথা বলছে। আপডেটেড গুগোল কোয়ালিটি রেটিং গাইডলাইনে এই বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মুলার বেশ কয়েকটি টুইটে একই ধরনের ইঙ্গিত দিয়েছেন। তাই এখন সময় এসেছে ই এটি নিয়ে কাজ করার । বিষয়টা আগে শক্তিশালী না হলেও এখন আমার ধারনা এলগোরিদমে যথেষ্ট শক্তিশালীভাবেই অবস্থান করছে
কিভাবে অথরিটি ট্রাস্ট এক্সপার্টনেস বাড়ানো যায় সে বিষয়ে অন্য কোন সময় আলোচনা করব।
নোটঃ এই পোস্টটি লিখার আগে ডাক্তার মেরি এ দেওয়া বিভিন্ন তথ্য ও উনার সাথে আলোচনার বিভিন্ন বিষয়গুলো থেকে সাহায্য নেওয়া হয়েছে
অনেক বড় লেখা লিখে ফেললাম। পোস্টটি ভাল লাগলে এবং প্রয়োজনীয় মনে হলে শেয়ার করতে ভুলবেন না । আপনার শেয়ার এর কারনে আইটি শিক্ষা টিম উৎসাহ পাবে এবং অন্যরা উপকৃত হবে।
ভাল লিখেছেন।
নিশ্চিত করেই বলা যায় অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এক জায়গায় একটি পোস্টে নিয়ে আসা বেশ সময় সাপেক্ষ ছিল ও কষ্টসাধ্য, আশা করছি আপনার শ্রম থেকে অনেকেই উপকৃত হবেন।
আশা করছি এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
ইনশাল্লাহ নিয়মিত লিখার চেষ্টা করব । সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ
অনেক কিছু জানতে পারলাম, ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ সাথে থাকার জন্য
Helpful info. Thanks for share a great article.
Thank you very much for your feedback. It would be great if you share it to your timeline. Sharing is caring
ধন্যবাদ ভাই ভালো উপস্থাপন এর জন্য
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাই পাশে থাকার জন্য
লেখাটি পড়ে গুগলের নতুন আপডেটের অনেক কিছু জানতে পারলাম। আশা করি ভবিষ্যতে আরো বিস্তারিত জানতে পারবো।
সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আশা করছি সব সময় সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন। 😍
Thanks bhaia
আপ্নাকে স্বাগতম
“এখানে একটি বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন গুগোল বেশ কিছু সময় ধরে লিংক ছাড়া ব্রান্ড কে ব্যাকলিংক হিসেবে কাউন্ট করছে।”
ভাই, এই বাক্যটির অর্থ বুঝতে সমস্যা হচ্ছে।
জি লিংকলেস ব্রান্ডের মেনশনকে গুগল ও বিং এখন ব্যাকলিংক হিসাবে কাউন্ট করছে।
ধরুন আপনার ব্রান্ডের নাম আইটি শিক্ষা। আমার কোন ওয়েবসাইটে আমি উল্লেখ করলাম, আইটি শিক্ষার তথ্যমতে এসইও বিজ্ঞান ও কলার সমন্বয়। এই যে আইটি শিক্ষা শব্দটা উল্লেখ করা হয়েছে এইটাকে লিংকলেস ব্যাকলিংক বলে
শুধু তাই নাই এই বিষয়টি আপনার ব্রান্ড ভ্যালুকে বাড়াতে সহায়তা করবে
অনেক ধন্যবাদ। আমি সহ অনেকেই উপকৃত হবে।
আপনাকেও ধন্যবাদ পাশে থাকার জন্য