অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় পুরাতন পোষ্ট রেংকে নেই বা নির্দিষ্ট পজিশনেই আটকে আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে যেহেতু অফ পেজ এসইও নিয়ে দুর্বল তাই আমার মনোযোগ থাকে অনপেজ এসইওতে বা টেকনিক্যাল বিষয়গুলাতে। এই ক্ষেত্রে পুরাতন পোষ্টগুলা নিয়মিত চেক করতে হয় আর প্রয়োজন অনুসারে আপডেট করি।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
এই পোষ্টে আলোচিত পদ্ধতিগুলা একান্তই আমার নিজস্ব মতামত। আমি নিজে যেভাবে কাজ করি সেটাই তুলে ধরলাম।
পুরাতন কন্টেন্ট কেন আপডেট করা দরকার
পুরাতন কন্টেন্ট আপডেট করার কারণ আমার কাছে দুটি । প্রথমত ইউজার ইন্টেন্টকে আরো পুর্নতা দেওয়া আর দ্বিতীয়ত সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করা। যদিও একটি আর এক্টির পরিপুরক। ইউজার স্যাটিস্ফাইড হলে সার্চ ইঞ্জিন রেংক করবে আর সার্চ ইঞ্জিন রেংক দিলেই ইউজার সাইটে ঢুকবে।
ইউজার ইন্টেন্টকে পুর্নতা দেওয়া
গুগল তার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে তার লক্ষের বর্ণনা দেয়। সেখানে গুগল বলে Organize the world’s information and make it universally accessible and useful। লাস্ট শব্দের দিকে যদি গুরুত্ব দেই তাহলে খেয়াল করবেন সবার জন্য উপকারী এই ধরনের একটা লাইন গুগল যুক্ত করেছে। একজন রাইটার যখন লিখেন , তিনি একেবারে কখনোই সব বিষয়কে একসাথে করে লিখতে পারেন না। আর এই না পারাটাই স্বাভাবিক। কিছু ইনফো গ্যাপ থেকে যায়, কিছু ক্ষেত্রে তিনি হয়ত একভাবে ভেবেছেন আর বিষয়টা আসলে অন্যরকম বা ইউজার আসলে অন্য কিছু চায়। এই ধরনের ঘটনা ঘটেই । এই জন্যই আসলে ইউজার ইন্টেন্টকে ফিলাপ করার জন্য পুরাতন কন্টেন্টকে আপডেট করতে হয়।
এছাড়াও কিছু ইনফরমেশন সময়ের সাথে পরিবর্তিত হয়। আপনি হয়ত সর্বশেষ এসইও এর একটি টেকনিক নিয়ে আলোচনা করেছিলেন বর্তমানে সেটাই পুরাতন হয়ে গেছে। আবার ২০১৮ সালের ব্লাক ফ্রাইডে অফার নিশ্চিতভাবেই ২০১৯ সালে কাজ করবে না। এই সকল কারনে ইউজার ইন্টেন্টকে পুর্নতা দানের জন্য পুরাতন কন্টেন্ট আপডেট করি।
সার্চ ইঞ্জিনে রেংক পাওয়ার জন্য
আমরা ওয়েবমাস্টারদের মুল কাজ ই থাকে সার্চ ইঞ্জিনে রেংক করা। আর এইজন্য আমরা অনেক ধরনের টেকনিকের আশ্রয় নেই। আমার পুরাতন কন্টেন্ট গুলাকে আপডেট করার উদ্দেশ্যও থাকে সার্চ ইঞ্জিনে যেন রেংক করতে পারি । এখানে আমার কাছে অনেক গুলা বিষয় কাজ করে । যেমন আমি হয়ত একটি কিওয়ার্ড টার্গেট করেছিলাম কিন্তু সার্চ ইঞ্জিন অন্য অনেক কিওয়ার্ড ধরেছে সেগুলার জন্য অপ্টিমাইজ করা ।
কিভাবে পুরাতন কন্টেট আপডেট করবেন?
পুরাতন কন্টেন্ট আপডেট করতে হলে প্রথমেই যেই বিষয় আমি করে থাকি তাহল কন্টেন্ট অডিট। আপডেট করার আগে কন্টেন্ট অডিট করা জরুরি। কোন কন্টেন্ট আপডেট করতে হবে, কোনটি রেংকে আছে কোনটি রেংক এ নাই, কি কি আপডেট করে হবে এইসব বিষয় সম্পর্কে জানার জন্য কন্টেন্ট অডিট জরুরি বিষয়।
ধাপ-১ – পোষ্ট লিস্ট বানানোঃ প্রথমদিকে বা একটা নির্দিষ্ট সময় পর সাইটে অনেক বেশি এলোমেলো হয়ে যায়। সব গুলা পোষ্টের লিস্ট এই ক্ষেত্রে অনেক বেশি সহায়তা করে।
সাইটে যদি পোষ্ট খুব কম থাকে তাহলে পোষ্ট ও পেজ লিস্ট ম্যানুয়ালিই তৈরী করা যায় । যে সকল সাইটে পোষ্ট সংখ্যা অনেক বেশি সেসব ক্ষেত্রে আমি WP Sitemap Page প্লাগিনটি ব্যবহার করি। এই প্লাগিন ইন্সটল করে সাইটম্যাপ নামে একটি পেজ ক্রিয়েট করি । সেখানে তাদের শর্টকোড [wp_sitemap_page] দিয়ে দিলেই সব গুলা পেজ ও পোষ্টের লিংক ও লিস্ট একসাথেই চলে আসে।
ধাপ ২- কন্টেন্ট ক্লাসিফিকেশনঃ কন্টেন্ট ক্লাসিফিকেশন করার জন্য আমি নিচের ম্যাট্রিক্স গুলাকে গুরুত্ব দেই। প্রথমত পেজ ভিউ, অর্গানিক ট্রাফিক, লিংক , এংগেজমেন্ট ইত্যাদি।
গুগল এনালাইটিক্সের মাধ্যমে ক্লাসিফিকেশন
গুগল এনালাইটিক্স মেনুর Behavior —> Site Content–> All Pages অপশনে গেলে আপনার সব গুলা পেজের পেজ ভিউ , বাউন্স রেট ইত্যাদি দেখতে পারবেন । সব গুলা পেজ ডাটা একসাথে এক্সেল ফাইলে ডাউনলোড করতে পারবেন গুগল এনালাটিক্স পেজ থেকেই

এবার কন্টেন্ট গুলাকে নির্দিষ্ট তথ্য অনুসারে ভাগ করার পালা। ভাগ করার ক্ষেত্রে আমি নিচের বিষয়গুলাকে গুরুত্ব দেই ।
প্রথম ক্যাটাগরিঃ সব গুলো ইনফরমেশন আপডেটেড আছে । নিয়মিত ট্রাফিক পাচ্ছে। কিছু লিংক ও সোশ্যাল শেয়ার আছে। সার্পে প্রথম ১-৩ এ আছে । ভাল রেভিনিউ আসতেছে।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিঃ অনেক ইনফরমেশন আছে । কিছু ইনফরমেশন ব্যকডেটেড। সামান্য এডিট করতে হবে । সার্প রেংকিং এ প্রথম পেজ বা সেকেন্ড থার্ড পেজে আছে অনেক দিন ধরেই।
তৃতীয় ক্যাটাগরিঃ একই টপিকস এ একাধিক আর্টিকেল লিখা হয়েছে। ক্যানিবিলাইজেশন ইসুতে সমস্যা হচ্ছে । খুব কম ট্রাফিক পাচ্ছে।
চতুর্থ ক্যাটাগরিঃ এই ধরনের পেজ গুলার কোন টার্গেট অডিয়েন্স ছিল না। কোন সময় হয়ত মনে হয়েছিল কাজ করবে লিখে ফেলেছিলাম। অপ্টিমাইজেশনও সম্পুর্ন না । ভিজিটর পাচ্ছেই না।
কন্টেন্ট মুছে ফেলব নাকি আপডেট করব?
আমি কাজ শুরু করি চতুর্থ ক্যাটাগরি দিয়েই । এই ক্যাটাগরির পোষ্ট গুলো রাখব নাকি রাখব না সেটা নিয়ে প্রথমেই চিন্তা করি । কারন খুজে বের করার চেষ্টা করি
- কেন ভিজিটর পাচ্ছে না?
- এই সব পোষ্টে সমস্যা কি?
- পোষ্ট গুলা কি আপডেট করব নাকি মুছে দিব?
কেন ভিজিটর পাচ্ছে নাঃ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পুরা ইনফরমেশন ব্যাকডেটেড। আবার অনেক ক্ষেত্রে ট্রেন্ডের বিষয়ও হতে পারে। যেমন আইপিএল ইভেন্ট নিয়ে কাজ করলে নির্দিষ্ট সময় ছাড়া অন্য সময় ভিজিটর না পাওয়াটাই স্বাভাবিক।
ধরুন আপনি ফ্লাইড শিডিউল নিয়ে কাজ করেছেন ২০১৬ সালে আপনার প্রতিটি পোষ্টে তারিখ হিসাবে বছরের নাম উল্লেখ করা আছে। অনেক পোষ্ট এমন হয় যে ভুলে ২০১৬ সালই রয়ে গেছে । এই পোষ্টে ভিজিটর না পাওয়াটাই স্বাভাবিক। গুগল এনালাইটিক্স ও সার্চ কন্সোলে দেখতে পারেন ২০১৬ সালে ঐ পোষ্ট গুলাতে অর্গানিক ভিজিটর কেমন ছিল । যদি সে সময় ভিজিটর পেয়ে থাকেন তাহলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে আপনি পোষ্ট আপডেট করলেই ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
যদি সেই পোষ্টেও আগেও কোন ভিজিটর না থাকে তাহলে অন্য কোন সমস্যা আছে কিনা দেখতে হবে। তখন সেকেন্ড স্টেপে চলে যাই।
পোস্টে সমস্যা কিঃ যেহেতু আগেও ভিজিটর পাই নি তার অর্থ হতে পারে আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি খুব খারাপ। আপনি ভুল কিওয়ার্ড সিলেকশন করেছিলেন। আপনি নির্দিষ্ট কোন কিওয়ার্ড কে টার্গেট করেই লিখেন নি। আপনার অন পেজে সমস্যা । আপনার এই পোষ্টটি ক্যানিবিলাইজড হয়ে আছে ইত্যাদি। যদি সমস্যা গুলো অনেক বেশী ও সমাধানযোগ্য না হয় তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে পোষ্ট ডিলিট করবেন নাকি করবেন না?
পোষ্ট গুলা কি আপডেট করব নাকি মুছে দিব?
ইচ্ছা করলেই যে কোন পোষ্ট মুছে দেওয়া যায়। কিন্তু এতে কিছুক্ষেত্রে সাইটের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পোষ্ট মুছে দেওয়ার আগে নিচের প্রশ্নগুলা নিজেকে করুন ।
- পোষ্ট কিছু ট্রাফিক পাচ্ছে ??
- সেই পোষ্টের কি আলাদাভাবে লিংক তৈরী করা হয়েছে?
- সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোন জায়গায় প্রচুর এংগেজমেন্ট আছে সেই পোষ্টে?
- সেই পোষ্টে কি ইন্টারলিংক করা হয়েছে?
উপরের চারটি প্রশ্নের উত্তরযদি কোনটার হ্যা হয় তবে সেটাকে মুছে দেওয়া উচিত নয়। এই পোষ্টের শেষের দিকে আমি আলাদাভাবে আলোচনা করেছি কিভাবে পোষ্ট আপডেট করবেন।
তৃতীয় ক্যাটাগরি – পোষ্ট ক্যানিবিলাইজেশন
একই কিওয়ার্ডে যদি একাধিক পোষ্ট সার্পে মারামারি করে তবে বুঝতে হবে আপনার পোষ্টটি কিওয়ার্ড ক্যানিবিলাইজেশন ইসু নিয়ে সমস্যা তৈরী করেছে । এই ক্ষেত্রে দুইটি পোষ্ট একসাথে করে ভাল ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয় ।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিঃ এই ধরনের পোষ্টগুলা এডিট করা খুব বেশি জরুরি। এই পোষ্টগুলাই আপনার সাইটের ভিজিটর অনেক গুনা বাড়িয়ে দিতে পারে। আর সামান্য কিছু টেকনিক অনুসরন করেই রেংকিং আগানো সম্ভব।
প্রথম ক্যাটাগরিঃ এই পোষ্ট গুলা এমনিতেই রেংকে আছে । তবে খেয়াল করে দেখবেন আরো কিছু কিওয়ার্ড দিয়েই অপটিমাইজেশন করা সম্ভব । যেগুলা দিয়ে সার্পে ৩ নং পজিশনের পরে গড়াগড়ি করছে ।
ধাপ -৩ঃ কিওয়ার্ড গ্রুপিং
পোষ্ট আপডেট করার আগে কিওয়ার্ড গ্রুপিং করলে খুব সহজেই আপডেট করা যায় পোষ্ট গুলা । এই ক্ষেত্রে আপনি ahref এর মত যে কোন পেইড টুলস ব্যবহার করতে পারেন । তবে তাও যদি না পারেন গুগল সার্চ কন্সোল ব্যবহার করতে পারেন। গুগল সার্চ কন্সোলের মাধ্যমে কিওয়ার্ড গ্রুপিং নিচে আলোচনা করছি।
সার্চ কনসোল এর মাধ্যমে কিওয়ার্ড গ্রুপিং
গুগল সার্চ কন্সোলে সর্বোচ্চ ৯৯৯ টি পর্যন্ত কিওয়ার্ড দেখা যায়। কিন্তু এর বাইরেও অনেক কিওয়ার্ড থাকে যা সার্চ কন্সোলে দেখা যায় না। শুধু মাত্র ৯৯৯ টি কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে থাকলে অনেকগুলা সম্ভাবনা ময় কিওয়ার্ড বাদ পরে যেতে পারে। আসুন দেখে নেই কিভাবে কিওয়ার্ড গ্রুপিং করা সম্ভব
যা যা লাগবেঃ সার্চ কন্সো লের এক্সেস, গুগল শিট, গুগল সার্চ এনালাইটিক্স এক্সটেনশন
- সার্চ এনালাইটিক্স ফর শিট গুগল ক্রোমের এক্সটেনশনটি ডাউনলোড করে নিন। ( ডাউনলোড লিংক)
- গুগল শিটে নতুন পেজ খুলুন
- এডন্স মেনু থেকে নিচের ছবির মত করে এক্সটেনশনটি খুলুন

- আপনার সাইট নির্বাচন করুন । প্রথম ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ।
- ডেট রেঞ্জ নির্বাচন করুন । যদি আপনার সাইট সিজনাল হয় তাহলে আমার পরামর্শ হবে ১ বছর পর্যন্ত নির্বাচন করুন । আর এভারগ্রীন সাইটের ক্ষেত্রে ৩ মাস পর্যন্তই যথেষ্ট
- সার্চ টাইপ বক্সে ডিফল্ট ওয়েব ভার্সন ই রাখুন
- Group By এর ক্ষেত্রে প্রথমে কুয়েরি ও পেজ নির্বাচন করুন।
- এরপর রিকুয়েস্ট ডাটা বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবিটি অনুসরন করতে পারেন।

- গুগল শীটের ফাইল অপশন থেকে এক্সেল ফাইল হিসাবে ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
- এখানে দেখতে পারবেন কিওয়ার্ডের পাশেই ইউ আর এল , CTR , Impression , Average Position, Number of Click ইত্যাদি দেখাচ্ছে ।
- এবার এক্সেল ফাইলের ডাটা মেনু থেকে আপনি খুব সহজে নির্দিষ্ট ইউ আর এল এর জন্য কোণ কোন কিওয়ার্ড রেংকে আছে সেগুলাকে সর্ট আউট করতে পারবেন

- যে সকল কিওয়ার্ডের ইম্প্রেশন ১০ এর কম সেগুলাকে বাদ দিন । বাকি গুলাকে নির্দিষ্ট ইউ আর এল অনুসারে সর্টিং করে ফেলুন । আর এরপর নির্দিষ্ট ইউ আর এল অনুসারে গ্রুপিং করুন । গ্রুপিং করার জন্য সবগুলা কলাম সিলেক্ট করে এক্সেলের ফিল্টার মেনুতে ক্লিক করুন। এর পর ইউ আর এল এর উপরের বক্সে ক্লিক করে নিচের চিত্রের মত আলাদাভাবে নির্দিষ্ট ইউ আর এল সার্চ দিতে পারবেন

কন্টেন্ট আপডেট
প্রথম ক্যাটাগরিঃ এর আগের লিস্ট পেজ থেকে ইউ আর এল গুলাকে হাইলাইট করে নিন। কোন গুলা কোন ক্যাটাগরিতে পরে।
এবার এক্সেলের সেই ইউ আর এল টি কি কি কিওয়ার্ডের জন্য রেংকে আছে তা দেখুন । এবার কিছুক্ষেত্রে এক্সট্রা লাইন যুক্ত করা লাগতে পারে, কিছু ক্ষেত্রে আগের ওয়ার্ডের পাশেই কিছু শব্দ যুক্ত করা যেতে পারে। নিচের ছবিট নেইল প্যাটেলের থেকে নেওয়া। তিনি কিভাবে আলাদাভাবে কিওয়ার্ড গুলা যুক্ত করেছেন সেটা খেয়াল করুন

সতর্কীকরন
অনেক সময় এডিট সঠিকভাবে না হলে হুট হাট কিওয়ার্ড ডেন্সিটি বেড়ে যেতে পারে ফলে রেংক ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যদি এই বিষয়ে সন্দিহান হন তাহলে প্রথম ক্যাটাগরি এডিট না করাই ভাল।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিঃ এই ক্যাটাগরিও প্রথম ক্যাটাগরির নিয়মে এডিট করতে পারেন । তবে এডিট করার আগে আবার কম্পিটিটরের কন্টেন্ট গুলা চেক করুন । কন্টেন্টএ ইমেজ ভিডিও ইত্যাদি যুক্ত করা অনেক বেশি কাজে দেয়। আর এছাড়া যেসকল কিওয়ার্ড ১০ এর বেশি ইম্প্রেশন পেয়েছে সেগুলাকে যুক্ত করুন । অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেসকল কিওয়ার্ড যুক্ত করার জন্য আমি নতুন করে প্যারাগ্রাফ যুক্ত করাকেই পছন্দ করি । এতে কন্টেন্ট লেংথ বাড়ছে আর ডেন্সিটি নিয়ে ভাবনার কারন নেই ।
আর পাশাপাশি প্রথম ক্যাটাগরির পেজ গুলার প্রথম লিংক ( First link ) থেকে এই দ্বিতীয় ক্যাটাগরির পেজে ইন্টারলিংক দেই । এতে খুব দ্রুতই অনেক সময় ২৪ ঘন্টার ভিতরেই রেংক পরিবর্তন হতে দেখেছি ।
তৃতীয় ক্যাটাগরিঃ এইক্ষেত্রে যেহেতু ক্যানিবিলাইজেশন এ সমস্য তাই সবচেয়ে বেটার হচ্ছে দুই বা ততোধিক আর্টিকেলকে একসাথে করে ফেলা । একটিকে ফিক্সড রেখে বাকিগুলাকে সেই নির্দিষ্ট পোষ্টে রিডিরেক্ট করা।
এই ক্যাটাগরির আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে আমি একদম প্রথম থেকেই শুরু করি । এরপর প্রয়োজন অনুসারে পুর্বের আর্টিকেলের নির্দিষ্ট অংশ বা প্যারাগ্রাফ ইত্যাদি আর্টিকেলের মাঝে প্রবেশ করাই । যদি স্ক্রাচ থেকে সেটা করা না হয় তাহলে আর্টিকেলের কোয়ালিটি আমার ক্ষেত্রে আরো খারাপ হয়ে যায়। যেমন ধরুন ৩ টা আর্টিকেলকে আমি একসাথে একটা করব সেক্ষেত্রে তিনটা আর্টিকেলেই ভুমিকা থাকে । আমার নতুন আর্টিকেলে নিশ্চিতভাবে তিনবার ভুমিকা আমি লিখতে যাব না । সে জন্য স্ক্রাচ থেকে শুরু করাই ভাল।
চতুর্থ ক্যাটাগরিঃ এই ক্যাটাগরির পোষ্ট গুলাকে নিয়ে আপনাকে ভাবতে হবে । যদি অপরিকল্পিত হয় তাহলে পোষ্ট গুলা ডিলিট করে দিতে পারেন । আর উপরের আলোচনায় বলেছি কখন পোষ্ট গুলা মুছবেন। মুছার পর রিডিরেকশন নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেন । কারন পেজ গুলা ৪০৪ হিসাবেই পাবে।
কাছাকাছি কিওয়ার্ডের কোন পোষ্ট যদি থাকে তাহলে সেখানে রিডিরেক্ট করুন । এতে জুস পাস হবে আপনার আগের পেজটি শক্তিশালি হবে। ৩০১ রিডিরেকশনের ক্ষেত্রে গুগল ঘোষিত রুলস হচ্ছে যদি একই বিষয়ের উপর হয় তবে ১০০% জুস ই পাস হতে পারে তবে ভিন্ন বিষয়ে হলে জুস পাস নাও হতে পারে।
পোষ্ট আপডেট নিয়ে কিছু প্রশ্ন উত্তর
এই প্রশ্নগুলা আমাদের ফেসবুক গ্রুপ আইটি শিক্ষা থেকে নেওয়া। গ্রুপে যোগ দিতে লিংকে ক্লিক করুনঃ ফেসবুকে আইটি শিক্ষা
প্রশ্নঃ পোষ্টের কন্টেন্ট প্রুফ রিড করে (হালকা খুটিনাটি চেইঞ্জ করে )পাবলিশ করা ভালো নাকি নতুন করে এই টপিক নিয়ে নতুন করে লিখে সেইম URL দিয়ে পাবলিশ করা বেটার?
উত্তরঃ নতুন করে লিখার ক্ষেত্রে কেবল উপরে উল্লেখিত চতুর্থ ক্যাটাগরিটি আমি সাজেস্ট করি । আর ইউ আর এল অবশ্যই সেম রাখবেন। আর প্রথম তিনটি ক্যাটাগরিতে নতুন করে লিখা হলে আগের অনেক কিওয়ার্ড রেংক থেকে হারিয়ে যেতে পারে।
প্রশ্নঃ পুরানো কন্টেন গুলা কি ডিলিট করা ভাল নাকি নতুন করে লিখে আপডেট দেওয়া ভাল। যে কন্টেন গুলার কোনো ভ্যালু নেই সেই গুলা কি করা উচিত? ডিলিট করা পোষ্ট গুলা কি গুগল থেকে রিমুভ করতে হবে?
উত্তরঃ উপরে আলোচনা করেছি কোন পোষ্ট গুলা ডিলিট করবেন আর কিভাবে আপডেট করবেন। ডিলিট করার ক্ষেত্রে অবশ্যই কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর খুজবেন। আলাদাভাবে লিংক বিল্ডিং করা আছে নাকি?? সোশ্যালে কেউ মিস করবে নাকি এই পোষ্টটা ? ভিজিটর কি একেবারেই নেই ? আপডেট করলে কি রেংক ও ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা আছে ??
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট পাব্লিশ করার পর গুগল দেখলাম প্রথমেই এলএসআই ধরে (আমার ২-৩ টা পোষ্ট ফলো করলাম) র্যাংকিং আপ করার জন্য কোনটা ভালো হয়? সেই এলএসআই দিয়ে সেইম পোষ্টে কন্টেন্ট বাড়ানো?? নাকি সেইম এলএসআই দিয়ে নতুন পুস্ট করা ভালো?? যদি মান সম্মত এসভি থাকে
উত্তরঃ কোনভাবেই নতুন পোষ্ট নয় । নতুন পোষ্টে কিওয়ার্ড ক্যানিবিলাইজেশন ইসুতে ঝামেল হবে । এই ক্ষেত্রে আপনার আগের পোষ্টের রেঙ্ক ও হারিয়ে যেতে পারে। আমার পরামর্শ সেই এল এস আই গুলাকে টার্গেট করে কন্টেন্ট বাড়ান । নির্দিষ্ট সময় পর রেংকে চলে আসবে মুল কিওয়ার্ডও । কারন ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিন দিন পজেটিভ হচ্ছে ।
প্রশ্নঃ পুরোনো কনটেন্ট এর বয়স বেড়ে গেলে এবং সেখানকার বিষয়বস্তু সিগনিফিকান্টলি পরিবর্তিত হলে কি করেন? কীওয়ার্ড পালটে নতুন আর্টিকেল লেখেন, নাকি পুরোনোটাই আপডেট করেন?
পুরোনো আর্টিকেল এর ভাগ্যে কি জোটে? ডিলিশন? নাকি আপডেট? নাকি যেমন ছিলো তেমনই থাকে?
পোষ্ট ডিলিট করার বিষয়ে দুইজন গুগলার নেগেটিভ ধারনা দেন । উপরে গ্যারির বক্তব্য তুলে ধরলাম । আর মুলার এই বক্তব্যের প্রায় ১ বছর পর বলেন
Improving it means that the rankings can only go up, whereas by removing it, can cause loss of rankings instead of the gains that some people think content removals will do
John Mular
সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল ২০১৬ সালে প্রথম মার্কেটিং ক্যালেন্ডার প্রকাশ করে । এরপরের বছর ২০১৭ সালে আপডেট করেন নি সেটা। ২০১৮ সালে গিয়ে সেটা ডিলিট না করে আপডেট করেন । ফলাফল হিসাবে ভিজিটর বেড়ে যা প্রায় ২ গুন । একইভাবে SEO Periodic Table এর নতুন ভার্সন পুরাতন ইউ আর এল এই আপডেট করে তারা।
যদি একান্তই বিষয়টা মার্কেট আউট হয়ে যায় তাহলে ভিন্ন কথা । ডিলিট করে পাশাপাশি কোন পেজে রিডিরেক্ট করাই ভাল ।যেমন আপনি যদি টেক রিভিউতে কোন একসময় সাদা কালো টিভি নিয়ে রিভিউ লিখেছেন। কিন্তু বিষয়টা আর এখন নেই । সেই ক্ষেত্রে দুইটা বিষয় ভাবতে পারেন সাদাকালোর টিভির ইতিহাস বা এই জাতীয় কিছু দিয়ে সার্চ ভলিউম আছে কিনা আর যদি না থাকে তাহলে ডিলিট করা যেতে পারে এবং ৩০১ রিডিরেক্ট করতে পারেন কাছাকাছি মানের কোন পোষ্টে।
প্রশ্নঃ লিস্ট পোস্টের কিছু প্রডাক্ট মার্কেটে না থাকলে সেই প্রডাক্ট রিভিউ গুলা কি রাখেন? না এর বদলে নতুন প্রডাক্ট অ্যাড করে আগের প্রডাক্ট রিভিউ রিমুভ করেন?
উত্তরঃ হুট করে কোন প্রোডাক্ট ডিলিট করলে রেংক ডাউন করতে পারে। আমি কাছাকাছি এক ধরনের ভিন্ন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম। ফ্লাইট লিস্ট ও হোটেল বুকিং এর এফিলিয়েশনে হুট করেই দুইটা ফ্লাইট পরিবর্তন হয় বা অফ হয়ে যায়। আর তাদের সামার অফার ছিল সেটা বন্ধ হয়ে যায়। প্রথমদিকে একটা পোষ্ট ডিলিট করে দেওয়ার রেংক ডাউন হয়ে যায়। পরের পোষ্টে জাস্ট অফার গুলাকে নিচের দিকে নিয়ে যাই । আর লিখে দেই Currently Not Available এইভাবে একটা নোটিস বক্স দিয়ে দেই । আর নতুন অফার যুক্ত করে দেই । কিছুদিন রেংক স্টাবল হওয়ার পর আমি সেগুলাকে আস্তে আস্তে করে সরিয়ে নেই ।
১। এলএসআই ইউজ এর ভ্যাল্যু কি নতুন আপডেটের পরে কমেছে?
২। ধরা যাক কোন একটা কন্টেন্ট একটা কিওয়ার্ডে টপ ৩ তে র্যাঙ্ক করেছে, যেইটা কন্টেন্টের ভেতরে নাই। নতুন আপডেটের ফলে কি এসব কিওয়ার্ড ঝরে যেতে শুরু করেছে?
উত্তরঃ এল এস আই এর ভ্যালু কমে নি । গুগলের কাছে এল এস আই এর পাশাপাশি এন জিগ্রাম ( যা মুলত গুগল বুকসের ক্ষেত্রে প্রচলিত ছিল , আমার কাছে সেটা সার্চেও নিয়ে এসেছে বলেই মনে হচ্ছে
২। এই ধরনের বিষয় আসলে নজরে আসে নি ।
কিছু সিংগেল প্রোডাক্ট রিভিউ এর ক্ষেএে যদি ওই প্রোডাক্ট টি অ্যামাজনে না থাকলে তখন কি কন্টেন্ট চেন্জ করবো
উত্তরঃ সিংগেল প্রোডাক্ট রিভিউ ক্ষেত্রে যদি ওই প্রোডাক্ট এমাজনে না থাকে তাহলে প্রথম কাজ হচ্ছে সেই প্রোডাক্ট নিয়ে বিকল্প এফিলিয়েট সোর্স খুজে বের করার চেষ্টা করা যদি সেই পেজ রেংকে থাকে। একেবারেই পাওয়া না গেলে প্রথম দিকে এমাজন লিংক সরিয়ে দিতে পারেন আর একদম শুরুতেই ইউজারকে নোটিফিকেশন বা আপডেট আকারে জানিয়ে দিতে পারেন এই মুহুর্তে প্রোডাক্টটি এভেলেবল না। এরপর পাশাপাশি অন্য প্রোডাক্ট নিয়ে রিভিউ লিখে পরে সেই প্রোডাক্টে ৩০১ রিডিরেক্ট করতে পারেন । যদি প্রোডাক্টটি ভবিষ্যতে আসার সম্ভাবনা থাকে তাহলে ৩০১ এর পরিবর্তে ৩০২ রিডিরেক্ট করতে পারেন
প্রশ্নঃ কন্টেন্ট এর বয়স আনুমানিক কত হলে সেটাকে ওলড কন্টেন্ট বলা যাবে। ছয় মাস? এক বছর? না দেড় বছর??
উত্তরঃ কন্টেন্টের এর বয়স ১০ দিন হলেও সেটা পুরাতন বলা যায় । সাধারনত ইন্ডেক্স হওয়ার পর সার্চ কন্সোল আপডেট হতে ৩ দিন সময় লাগে। এর পরের ৭ দিন ওয়েট করে দেখা যেতে পারে যে কোন কোন কিওয়ার্ড সার্চ কন্সোলে ধরেছে । সে অনুসারে সাইটে কন্টেন্ট গ্যাপ গুলা ফিলাপ করা যায় । এখানে মুল বিষয় ইউজার ইন্টেন্ট আর গুগলকে দেখানো যে আমার কন্টেন্ট আপ্টু ডেট। আমি ব্যক্তিগতভাবে নতুন কন্টেন্ট দেওয়ার ১৫ দিন পর কন্টেন্ট গুলাকে একবার হলেও চেক করি ।
কন্টেন্ট আপডেট দেওয়ার পর —
কন্টেন্ট আপডেট দেওয়ার পর আমি মুলত পাবলিশ ডেট চেঞ্জ করে দেই । যদি আপনার সাইটে মডিফাইড ডেট স্ট্রাকচারড ডাটা এনাবল করা থাকে তাহলে পাবলিশ ডেট পরিবর্তন না করলেও সমস্যা নেই ।
পাবলিশ ডেট পরিবর্তন করার কারন থাকে আমার দুইটা। এক গুগলকে কন্টেন্ট ফ্রেশনেস এর বিষয়ে অবহিত কড়া। দুই অনেক ক্ষেত্রে কন্টেন্টটি একদম পিছনের পাতায় চলে যায় ( আমার হোম পেজ ডায়নামিক থাকে ) সেক্ষেত্রে হোম পেজ থেকে ( যেহেতু আমাদের সব চেয়ে বেশি শক্তিশালী পেজ হোম পেজ ) জুস খুব কমই পায় । তাই ডেট আপডেট করলে একই সাথে দুইটা কাজ হয়।
আর ক্রল বাজেট অপ্টিমাইজ করা থাকলে খুব দ্রুত নতুন কন্টেন্ট গুগল ক্রল করে। যদি ক্রলিং এ দেরী হয় তবে আপনি চাইলে গুগলে ফেচ করে দিতে পারেন ।
কোন পোষ্ট ডিলিট করলে সেই পোষ্টের ইন্টারলিংক গুলা কোথায় কোথায় আছে সেগুলাকে ডিলিট করি।
কন্টেন্ট আপডেটের ফলাফল কি হতে পারে
সাম্প্রতিক সময়ে আমার নিজের একটা সাইট ও অন্য একজন এর সাইট এ এই ধরনের কিছু পরিবর্তন এনেছি। নিচে একটি সাইটের ইন এনালাইটিক্সের চিত্র দেওয়া হল

প্রথম সাইটে গত ৩০ দিনে ভিজিটর দ্বিগুন হয়েছে। উল্লেখ্য একটি নির্দিষ্ট ক্যাটগরি ( এখানে উল্লেখিত দ্বিতীয় ক্যাটাগরির পোষ্টগুলাকেই আমি শুধু একটু পরিবর্তন করেছি । সেগুলা ইতোমধ্যে দ্বিতীয় ক্যাটাগরি থেকে প্রথম ক্যাটাগরির ভিতর চলে এসেছে ।
আর দ্বিতীয় আমার একটি সাইটের এনালাইটিক্স দেখতে পারেন । এখানে দুই তৃতীয়াংশ পোষ্টকে এডিট করা হয়েছে গত ৬ মাসে।

জনপ্রিয় ওয়েব সাইট সার্চ ইঞ্জিন জার্নাল একই কাজ করেছে এই বছর । ফলাফল হিসাবে ৯১০০০০ পেজ ভিউ থেকে বেড়ে ১.৭ মিলিয়ন পেজ ভিউ আর মার্চে সেটা ১.৯ মিলিয়ন হয়েছে । ইন্ডেক্স পেজের সংখ্যা সমান ই রয়েছে ১৮০০০।
we just topped that record again in March – more than 1.9 million pageviews. Today, we still have 18,000 pages indexed – we’re just getting more out of the same amount of content.
সুত্রঃ Danny Goodwin Executive Editor at Search Engine Journal
উপরের সবগুলা ক্ষেত্রেই কন্টেন্টের পরিমান পরিবর্তন হয় নি ।
কন্টেন্ট আপডেটের আরো ১০ টি বিষয়
কন্টেন্ট আপডেট করার সময় অন্য যেসকল বিষয়ের উপর জোর দিতে পারেন
১. টাইটেলঃ টাইটেল কি এসইও অপ্টিমাইজড কিনা খেয়াল রাখুন । মেটা টাইটেল রেংকিং ফ্যাকটর ।
২. ইউ আর এলঃ যদি খুব বেশি প্রয়োজন না হয় তবে ইউ আর এল চেঞ্জ না করাই উচিত। একেবারে এসইও ফ্রেন্ডলি নাহলে পরিবর্তন করে ফেলতে পারেন।
৩ পাবলিশ ডেটঃ যদি মডিফাইড ডেট স্কীমা এনাবল করা থাকে তাহলে পাবলিশ ডেট চেঞ্জ করার দরকার নেই। নাহলে অবশ্যই চেঞ্জ করা উচিত।
৪. ওয়ার্ড কাউন্টঃ কন্টেন্ট কোয়ালিটি শব্দ সংখ্যার উপর নির্ভর করে না। তবে আপনার কম্পিটিটরের তুলানা করে সেটাকে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হিসাবে বিবেচনা কড়া যায়
৫. ইন্টারলিংকঃ খেয়াল করে দেখুন সেই পোষ্টে মোট কতটি ইন্টারলিংক করা হয়েছে। গুগল সার্চ কন্সোলের লিংক রিপোর্ট থেকেই এই চিত্র দেখতে পারবেন
৬. মোবাইল ফ্রেন্ডলিঃ সম্পুর্ন ওয়েবসাইট মোবাইল ফ্রেন্ডলি হলেও অনেক সময় ছবি বাটন ইত্যাদির ব্যবহারের কারনে মোবাইল ফ্রেন্ডলিনেস নির্দিষ্ট পোষ্ট হারাতে পারে। এই ধরনের মেসেজ প্রায় Clickable Elements গুলা খুব কাছাকাছি থাকতে পারে। এই বিষয়টা খেয়াল রাখা উচিত।
৭. প্রশ্ন উত্তরঃ গুগল ভয়েস এসিস্টেন্টের যুগে অনেকেই সরাসরি গুগলের প্রশ্ন করে বসেন। চেষ্টা করুন গুগলের এফ এ কিও তে দেখানোর জন্য সরাসরি প্রশ্ন গুলা যুক্ত করতে । আর উত্তর ১৬০ ক্যারেক্টারের ভিতর থাকলে গুগল এফ এ কিউ তে দেখানোর সুযোগ বাড়ে।
৮. ছবি ও মিডিয়া ব্যবহার করুনঃ আগে যদি না থেকে থাকে তাহলে যুক্ত করেন । অল্টার ট্যাগ মিস হয়। অনেক সময় আমরা ফাইলের নামের প্রতি গুরুত্ব দেই না। এই বিষয়গুলা খেয়াল করুন। ছবির ইউ আর এল এই ফাইলের নাম দেখা যায় ।
৯. রিডাবিলিটিঃ চেষ্টা করুন সহজ বাক্য লিখার জন্য। চেক করার সময় যদি কমপ্লেক্স বাক্য চোখে পরে তাহলে সেটাকে ভেংগে লিখতে পারেন । তবে সেটা যেন মুল অর্থ ঠিক থাকে । অহেতুক কন্টেন্টের সৌন্দর্য্য নষ্ট করবেন না ।
১০. বিজ্ঞাপনঃ যেহেতু কন্টেন্টের লেংথ সব সময় একই রাখা সম্ভব হয় না তাই সাইটে বিজ্ঞাপন গুলা খেয়াল করুন। ছোট একটা উদাহরন দিতে পারি। আমার সাইটে প্রথম দিকে ছিল প্রথম হেডিং দুই এর পরে একটি বিজ্ঞাপন এরপর ৪ নং হেডিং এর পরে একটা বিজ্ঞাপন আর ৬ নং এর পরে বিজ্ঞাপন। সর্বশেষ ফুটারে বিজ্ঞাপন। একটি পোষ্টে দেখলাম হেডিং আছে ৪ টি মাত্র। ফলাফল হিসাবে ফুটারে ২ টা বিজ্ঞাপন দেখাচ্ছে একই সাথে । যা সাইটের জন্য নেগেটিভ।
আজকে এই পর্যন্তই। এই বিষয়ে যে কোন মতামত , আলোচনা বা সমালোচনা গ্রহনযোগ্য। আর শেয়ার করার জন্য অনুরোধ রইল।
Great Share Vai!
Kisher kisher upor vittti kore post gulo 4 category te bivokto korchen?
প্রথম ক্যাটাগরিঃ সব গুলো ইনফরমেশন আপডেটেড আছে ।
দ্বিতীয় ক্যাটাগরিঃ অনেক ইনফরমেশন আছে ।কিছু ইনফরমেশন ব্যকডেটেড।
তৃতীয় ক্যাটাগরিঃ একই টপিকস এ একাধিক আর্টিকেল লিখা হয়েছে।
চতুর্থ ক্যাটাগরিঃ এই ধরনের পেজ গুলার কোন টার্গেট অডিয়েন্স ছিল না।
Thanks a lot
“যে সকল কিওয়ার্ডের ইম্প্রেশন ১০ এর কম সেগুলাকে বাদ দিন ।” eta kivabe korbo?
এক্সেল ফাইলে সর্টিং করলেই ১০ এর নিচে গুলা এক সিরিয়ালে আসবে। সেজন্য এক্সেলের ডাটা মেনুতে যান। সেখান থেকে সর্ট। Smallest to Largest এইভাবে সর্ট করতে পারেন
Thankyou, Nice post. Learn in detail.
Great share, thank you.